নিজস্ব প্রতিবেদক
ধর্ষণ মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য নারায়ণগঞ্জ আদালতে উঠানো হয়েছে হেফাজতে ইসলামের বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হককে। এই মামলায় তৃতীয় দফায় ৩ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ হয়েছে। তারা হলেন- সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু, সোনারগাঁয়ের রয়্যাল রিসোর্টের অভ্যর্থনা কক্ষের (রিসিপশন) কর্মী মাহবুবুর রহমান ও আনসার সদস্য মো. ইসমাইল। এই মামলার মোট সাক্ষী ৪৩ জন। এখন পর্যন্ত বাদীসহ সাতজন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার সকাল ৯টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে কাশিমপুর কারাগার থেকে তাকে আদালপাড়ায় আনা হয়। দুপুর ১২টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষগ্রহণের জন্য মামুনুল হককে তোলা হয়।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন অফিসার নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল সাক্ষ্য দিয়েছিলেন।
তার আগে, গত ২৪ নভেম্বর প্রথম দফায় মামুনুল হকের উপস্থিতিতে কথিত দ্বিতীয় স্ত্রী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য নেন আদালত। একইসঙ্গে ৩ নভেম্বর মামুনুল হকের বিরুদ্ধে করা ধর্ষণ মামলায় বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেওয়া হয়।
এদিকে, সাক্ষ্যগ্রহণকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়াতে নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। আদালতের মূল গেটে প্রবেশ পথে সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ ও চেক করে প্রবেশ করানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৩ এপ্রিল সোনারগাঁয়ে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে এক নারীসহ স্থানীয়দের হাতে অবরুদ্ধ হন মামুনুল হক। সে সময় তিনি বিব্রতকর অবস্থায় পড়লে হেফাজতের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের কার্যালয়, স্থানীয় যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বেপরোয়া ভাঙচুর চালায় হেফাজত সমথূকরা। হামলা হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দুই শতাধিক যানবাহনেও।
সেদিন রিসোর্টে সঙ্গীনিকে মামুনুল দ্বিতীয় স্ত্রী দাবি করলেও তার দাবির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে। আর ১৮ এপ্রিল গ্রেপ্তারের পর ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা করেন ঝর্ণা। এতে তিনি অভিযোগ করেন, মামুনুল বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত দুই বছর ধরে তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়েছেন। কিন্তু বিয়ে করবেন বলে আর করেননি।